October 23, 2024, 6:27 am
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯,৫০,৪৮ ও ৫১ নং ওয়ার্ডে দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজি বাইক। প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করার ফলে পাল্লা দিয়ে ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।দক্ষিণখান,আজমপুর,ফয়দাবাদ রোড সহ অনেক কানাচে অসংখ্য ইজি বাইক চলার কারণে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।
ইজি বাইকের দৌরাত্যে ও চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এর ফলে বড় গাড়ির ড্রাইভারা বিরক্ত বোধ করছে। ইতিমধ্যে ইজিবাইর ড্রাইভারদের বেপরোয়া চালানোর কারণে দূর্ঘটনায় কয়েক জন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিনখান বাজারের পাশেই শহিদুল ইসলাম (৩৫) এক ব্যক্তির উপর ইজিবাইক তুলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এনিয়ে দক্ষিন খান বাজার কাজকুরা রোড কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী, এরপর দক্ষিনখান থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করে চলাচলের জন্য খুলে দেয় দক্ষিনখান থানা পুলিশ। এই দক্ষিণখানে প্রায় ৩৫টি পয়েন্টে কয়েক হাজার ইজি বাইক চলাচল করছে।
এসব ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করতে অধিক বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিং এর কবলে পড়ছে। অধিকাংশ চোরাই লাইনের মাধ্যমে ব্যাটারী চার্জ করায় এক দিকে যেমন বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। অপর দিকে ঠিক তেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারের ডেস্কো।
সবচেয়ে বড় কথা হলো-যেখানে সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। সেখানে শাসক দলের কিছু দুষকৃতিকারীরা চোরাই লাইনের মাধ্যমে এসব ইজি বাইকের ব্যাটারী চার্জ করতেই ব্যস্ত। এতে করে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতিসহ অসহনীয় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব ইজি বাইকের ক্রয় মূল্য কম থাকায় সহজেই কেনা যায়। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো চালাচ্ছে রিক্সা-ভ্যান চালকেরা। ইজি বাইকের দ্বারা সৃষ্ট যানজটের কারনে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে ৪০ মিনিট এক আশকোনার পথচারি যানান ইজি বাইকের কারনে আশকোনা বাজার পার হতে অনেক সময় লেগে যায়।
শুধু মাত্র ইজি বাইকের কারনে রিক্সা-ভ্যান চালকরা যেখানে আগে ৪০০/৪৫০টাকা প্রতিদিন আয় করতো সেখানে তারা এখন ২০০/২৫০ টাকা আয় করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। সরকারের কোন প্রকার অনুমোদন/বাধ্যবাধকতা না থাকায় এখন যে কেউ ইজি বাইক চালাতে পারছে। ফলে বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এখন ঝুঁকে পড়েছে ইজি বাইকের দিকে। ইজিবাইক চালক করিম জানান,আগে এ এলাকায় ইজিবাইক কম ছিল।
রাস্তায় তেমন যানজট ছিলনা। প্রতিদিন অনেক টাকা রোজগার হতো। এখন প্রতিটি মোড়ে মোড়ে যানজটে আমাদের রোজগার কমে গেছে। শাসক দলের ও ট্রাফিকের কিছু মহল ইজি বাইক নিয়ন্ত্রন করে, আবার তারাই যানজট নিরসন ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
পথচারী কলেজ পডুয়া সুমাইয়া জানান, ইজিবাইকের কারনে কলেজে যেতেও অনেক বিলম্ব হয়। আমাদের ছোট্ট্র এ দক্ষিণখানে আয়তনের তুলনায় অধিক ইজিবাইক হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচলতেও সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ-আনিছুর রহমান [নাঈম] জানান, দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইক। কিন্তু আমাদের দক্ষিণখানের আয়তন তো দিন দিন বাড়ছে না। সরকার ইচ্ছা করলে এই অবৈধ অটোরিকশা অভিযান দিয়ে আটক সহ জেল জরিমানা করলে হয়তো কিছুটা যানজটমক্ত হবে।পাশাপাশি রাতের বেলায় অটো,রিক্সা গুলোতে অতিরিক্ত চার্জার লাইট লাগানোর ফলে দৃষ্টি দিতে হিমশিম খেত হয়।